ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে সেল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ইউজিসির বিপুল আমদানিতেও ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল মুক্তিযোদ্ধা তথ্যভাণ্ডার তৈরিতে অনিয়ম এ সরকারও কুমিল্লা থেকে খুনের ইতিহাস শুরু করেছে-শামসুজ্জামান দুদু যুব সমাজ দেশে জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা পাচ্ছে না-জিএম কাদের ট্রাম্পের শুল্কনীতির অস্থিরতায় বিশ্ব অর্থনীতির ঝুঁকি বাড়ছে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে পাচার অর্থ ফেরাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ২৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্রয় কমিটিতে ১২ প্রস্তাব অনুমোদন প্রশাসন ক্যাডারের তরুণদের হতাশা-ক্ষোভ গুচ্ছে থাকছে ২০ বিশ্ববিদ্যালয় ৯ বছরেও ফেরেনি রিজার্ভ চুরির অর্থ কারাগার থেকে ফেসবুক চালানো সম্ভব নয় ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ-আসিফ নজরুল এক সপ্তাহ পর ক্লাসে ফিরলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটায় উত্তাল জাবি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা সমর্থন করছি না-মান্না চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ

বিপুল পরিমাণ সুগন্ধি চাল অবিক্রীত অবস্থায়

  • আপলোড সময় : ১৩-১০-২০২৪ ১১:২৮:৫৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-১০-২০২৪ ১১:২৮:৫৪ অপরাহ্ন
বিপুল পরিমাণ সুগন্ধি চাল অবিক্রীত অবস্থায়
* বর্তমানে দেশে তলানিতে নেমেছে বেচাকেনা * চিনিগুড়া এক মণ চাল গত আমন মৌসুমে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় * বোরো মৌসুমে ৪ হাজার টাকা মণ বিক্রি হয় * চিনিগুড়া চাল এখন পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০০ টাকায়

দেশে উৎপাদিত শত শত টন সুগন্ধি চাল অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মূলত গত আমন ও বোরো দুই মৌসুমে সুগন্ধি চাল বিক্রি করতে না পারায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আর একমাস পরই বাজারে আসবে আমন মৌসুমের সুগন্ধি চাল। সামনের আমন মৌসুমের আগেই মজুত চাল বিক্রি করতে না পারলে সুগন্ধি চাল ব্যবসায়ীদের বিপুল লোকসান গোনার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় মিলার ও চাল ব্যবসায়ীরা সুগন্ধি চাল রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবি জানিয়েছে। মিলার ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে দেশে তলানিতে নেমেছে সুগন্ধি চালের বেচাকেনা। সুগন্ধি চিনিগুড়া এক মণ (৪০ কেজি) চাল গত আমন সৌমুমে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হলেও ওই চাল বোরো মৌসুমে এসে ৪ হাজার টাকা মণ বিক্রি হয়। আর ওই চিনিগুড়া চাল এখন পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০০ টাকায়। ৯০ জিরা বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ টাকা ও কাটারি ২৩০০ থেকে ২৩৫০ টাকায়। গত দুই মৌসুমের ব্যবধানে সুগন্ধি চালের দাম প্রকারভেদে এক মণে ১৭০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত কমে গেছে। তারপরও বিক্রি নেই। ব্যবসায়ীরা বাকিতে বিক্রির শর্তেও চাল বিক্রি করতে পারছেন না। আর দোকানীরা সুগন্ধি চাল কিনছেন না। অথচ মিলে সব ধরনের সুগন্ধি চাল রয়েছে। সূত্র জানায়, বিগত কয়েক বছরে সুগন্ধি সুগন্ধি ধানের আবাদে বড় পরিবর্তন এসেছে। ওসব ধান-চালের ভালো দাম পাওয়া যায় এবং ফলনও হয় বেশি। ফলে ১০-১১ বছরের ব্যবধানে সুগন্ধি ধানের আবাদ বেড়েছে ১৫০ শতাংশেরও বেশি। বিগত ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে দিনাজপুরে সুগন্ধি ধানের আবাদ বাড়তে শুরু করে। ওই অর্থবছরে জেলায় ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে সুগন্ধি ধান আবাদ হয়। উৎপাদন হয় ৮৬ হাজার ৯৯৪ টন সুগন্ধি চাল। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবেই প্রতি বছর সুগন্ধি ধানের জমির পরিমাণ ও উৎপাদন বেড়েই চলেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ওই জেলায় ৯০ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে সুগন্ধি ধানের আবাদ হয়। আর সুগন্ধি চালের উৎপাদন ২ লাখ ১৬ হাজার টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জেলায় ১ লাখ ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সুগন্ধি ধানের আবাদ হয়েছিল। উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ২৩ হাজার টন। গত বোরো মৌসুমে আবাদ হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি চাল। এবার আমন মৌসুমেও সুগন্ধি ধানের ব্যাপক চাষ হয়েছে। এবার চালের হিসাবে ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সূত্র আরো জানায়, সরকার বিগত ২০২১ সালের জুলাইয়ে ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেয়। আবার ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি বন্ধও করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে অনুমতি দিলেও সরকার ২০২৩ সালের জুন থেকে আবারো সুগন্ধি চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। ফলে ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনছে। আর কৃষকরাও চিকন সুগন্ধি ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। এদিকে কৃষি বিভাগ সংশ্লিষ্টদের মতে, দ্বিগুণ দাম পাওয়ায় কৃষকরা সুগন্ধি ধানের আবাদে ঝুঁকছেন। সারা দেশের সুগন্ধি চালের চাহিদার সিংহভাগ দিনাজপুর জেলা থেকে মেটানো হয়। তবে সরকার দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করে সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ রেখেছে। এবার জিআই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সুগন্ধি (চিনিগুড়া) চালসহ অন্যান্য সুগন্ধি চাল উৎপাদন হবে ২ লাখ ৫০ হাজার টনের বেশি। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের মতে, দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান কমে গেছে, বিয়ের অনুষ্ঠানও খুব একটা নেই। বিদেশিরাও কম আসছে, এতে করে চাইনিজ ও বিরিয়ানির হোটেলগুলোতেও ক্রেতা কমেছে। আবার গত সরকার বিদেশে সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে খোলা এবং প্যাকেটজাত উভয় সুগন্ধি চালের দাম কমেছে। এ ব্যাপারে চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মুসাদ্দেক হুসেইন জানান, অনেক মিলার-চাল ব্যবসায়ী ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছেন। চাল বিক্রি করতে না পারলে ঋণের দায়ে দেউলিয়া হবে মিলগুলো।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স